Type Here to Get Search Results !

প্রিয়তমা মুভি । শাকিব খান প্রিয়তমা ফুল মুভি ২০২৩

 প্রিয়তমা মুভি হল ২০২৩ সালের একটি বাংলাদেশী রোমান্টিক ড্রামা মুভি। প্রিয়তমা মুভি হিমেল আশরাফ দ্বারা পরিচালিত, তার দ্বিতীয় চলচ্চিত্র এবং আরশাদ আদনান প্রযোজিত। প্রিয়তমা ফুল মুভি ২০২৩ সম্পর্কে আজকে আমরা কথা বলব।

প্রিয়তমা মুভি । শাকিব খান প্রিয়তমা ফুল মুভি ২০২৩


Movie Credit:


প্রিয়তমা মুভির  গল্প লিখেছেন প্রয়াত ফারুক হোসেন এবং সংলাপ ও সংগীতায়োজন করেছেন হিমেল আশরাফ। মুভিটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাকিব খান, ইধিকা পাল ও শহীদুজ্জামান সেলিম। এছাড়াও মুভিটিতে অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করছেন এলিনা শাম্মী, ডন, লুৎফুর রহমান খান শিমান্দো, লুৎফুর রহমান জর্জ প্রমুখ।


শাকিব খানের প্রিয়তমা মুভি


২০২৩ সালে যখন শাকিব খানের প্রিয়তমা মুভিটা রিলিজ হয়েছিল। তখন প্রিয়তমা মুভি বেশ সাড়া ফেলেছে। প্রিয়তমা মুভি ছিল শাকিব খান ফ্যানদের জন্য অনেক বড় একটা সাফল্যের ব্যাপার এবং অনেক বড় একটা উপহার শাকিব খানের পক্ষ থেকে। কারণ এই মুভিটি শুধু শাকিব খান ফ্যানরা না এছাড়াও যারা রয়েছে বাংলাদেশের ক্লাসিক মুভি পছন্দ করেন তাদের কাছেও বেশ ভালো লেগেছিল। এবং এই মুভিটার এত ভালো লাগার একটা বড় কারণ ছিল একমাত্র ওয়ান এন্ড অনলি বাংলাদেশি সুপারস্টার শাকিব খান এর পারফরমেন্স। এছাড়াও তার সাথে যে অভিনেত্রী ছিল ইধিকা পল উনিও অনেক ভালো কাজ করেছিলেন মুভিটিতে।


প্রিয়তমা মুভিটি কোথায় পাবো


তো আপনার প্রশ্ন যদি এটা হয় যে প্রিয়তমা মুভিটি কোথায় পাবো তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন ।আপনি যদি প্রিয়তমা মুভিটি সম্পূর্ণ ফ্রিতে ডাউনলোড করতে চান তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ুন এবং সে অনুযায়ী মুভিটি এখনই ডাউনলোড করে দেখে ফেলুন।


প্রিয়তমা মুভির কাহিনী জানুন


মুভিটির কাহিনী বলে দেওয়ার আগে আমি আপনাকে বলতে চাই যে আপনি যদি মুভিটি সম্পর্কে ইন্টারেস্টেড হন তাহলে মুভিটি আগে দেখে নিন এর পরে এখানে আসুন কারণ এখানে কিছু স্পয়লার থাকতে পারে। কিছু না আসলে পুরোটাই স্পয়লার অর্থাৎ পুরো কাহিনীটাই আমি এখানে বলে দিতে যাচ্ছি আর কাহিনীটা বলার আগে আমি বলে রাখি যে এই মুভিটার সম্পূর্ণ স্বত্বাধিকার মুভির ডিস্ট্রিবিউটারদের কাছে আমার কাছে এই মুভির কোন রাইটসই নেই


একটি ছেলে যার নাম থাকে সুমন


তো প্রিয়তমা মুভির প্রথমে আমরা দেখতে পারি যে মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির একটি ছেলে যার নাম থাকে সুমন। অর্থাৎ আমাদের প্রিয় শাকিব খান সুমন চরিত্র অভিনয় করছে। সুমন অন্যান্য সাধারণ ছেলেদের মতই মারামারি করা অর্থাৎ বেকার ছেলেদের মত মারামারি করা তারপর ঘোরাফেরা এগুলা করে। এভাবেই মুভিটিতে তার জীবন চলতে থাকে। স্বাভাবিকভাবেই তার বাবা তাকে বকাবকি করে। এবং বলে যে  তাকে বাড়িতে থাকতে হলে কিছু কাজ করতে হবে। যেটা সাধারণত সকল মিডেল ক্লাস ফ্যামিলিতে চলতে থাকে।

এরপর দেখা যায় যে শাকিব খানের ভাই চট্টগ্রাম গিয়েছিল এবং সেখান থেকে তার লাশ ফিরেছে। সে সেখান থেকে বেঁচে ফিরতে পারেনি। এবং সবাই তাকে একটা নরমাল মৃত্যু হিসেবে নিয়ে নেয়। কিন্তু শাকিব খান অর্থাৎ আমাদের সুমন মনে করে যে এটা একটা পরিকল্পিত হত্যা ছিল। এরপর মুভিটিতে দেখানো হয় যে শাকিব খানের ভাবি তার ভাইয়ের যে বিজনেস পার্টনার ছিল তার কাছ থেকে টাকা নিতে গিয়েছিল এবং তারা তাকে টাকা না দিয়ে মারধর করে পাঠিয়ে দেয়।


বদলা নেওয়ার জন্য ওইখানে যায়

এরপর প্রিয়তমা মুভিতে সুমন তাদের থেকে বদলা নেওয়ার জন্য ওইখানে যায় এবং তাদেরকে মারধর করে এবং এটা মিটমাট করার জন্য ওইখানে স্থানীয় নেতার কাছে যায়। যে নেতা ছিল আমাদের নায়িকার বাবা। নায়িকার নাম মুভিতে থাকে তিথি। এখানে তিথির বিভিন্ন আচরণ আমাদের নায়ক শাকিব খান অর্থাৎ সুমনকে অনেক মুগ্ধকরে এবং সুমন তার প্রেমে পড়ে যায়। এরপর হঠাৎ একদিন সে তার এখানে আসার কাহিনী অর্থাৎ তার ভাইয়ের আসামিকে যে ধরতে এসেছে এ ব্যাপারটা তিথির সাথে শেয়ার করে। 


তিথি তাকে এ ব্যাপারে হেল্প করে

এরপর মুভিটিতে তিথি তাকে এ ব্যাপারে হেল্প করে। অর্থাৎ তার বাবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় এবং বলে যে আমার বাবা এ ব্যাপারে তোমাকে সাহায্য করতে পারবে। এরপর তিথির বাবা ভিলেনের সাথে তার একটা মিটিং এর আয়োজন করে। এবং সেই মিটিংয়ে মিটমাট হয় এবং শাকিব খান ওইখান থেকে চলে যেতে চায়।

ঠিক তখনই তিথি অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং শাকিব খান তাকে নিয়ে হাসপাতালে যায়। হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে এলাকার লোকজন তাদেরকে ভুল ভাবে। অর্থাৎ ভাবে যে শাকিব খান ওরফে সুমন মেয়েটাকে কিডন্যাপ করছে। এবং তাদেরকে মারতে থাকে ফলে তিথি যখন শাকিব খানকে বাঁচাতে যায় তখন তার মাথায় একটি আঘাত লাগে। এবং সে অসুস্থ হয়ে যায় এরপর দুজনে বাড়িতে চলে যায় এবং শাকিব খান অর্থাৎ সুমন তিথিকে কথা দেয় যে সে তাকে কখনো ছাড়বে না। এবং ঢাকা গিয়ে আগে তার ব্যাপারে কথা বলবে তার ফ্যামিলিতে। এবং তিথিও কথা দেয় যে সে সুমনকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করবে না। এরপর সুমন ওইখান থেকে চলে যায়।


এমপির ছেলের সাথে বিয়ে ঠিক হয়ে যায়


এদিকে তিথির একটা এমপির ছেলের সাথে বিয়ে ঠিক হয়ে যায় এবং সে তার বাবাকে অনেক বুঝানোর চেষ্টা করে যে সে অন্য কাউকে ভালোবাসে। এই বিয়েতে সে রাজি না। আর ওইদিকে আমাদের নায়ক শাকিব খান তার বাবা অসুস্থ হওয়াতে ওইদিকে অনেক ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ফলে সে তিথির সাথে যোগাযোগ করতে পারেনা। এরপর যখন তার ব্যস্ততা কেটে উঠে তখন সে তিথির সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে কিন্তু তাও সে পারেনা। তখন সে মনে করে বিধি তাকে ধোঁকা দিয়েছে।


সুমন ড্রাগ এডিক্টেড হয়ে যায়

এরপর আমাদের হিরো শাকিব খান অর্থাৎ প্রিয়তমা মুভিটিতে সুমন ড্রাগ এডিক্টেড হয়ে যায় এবং অনেক হতাশ হয়ে পড়ে। আর এখানেই তার অন্যরকমের একটা ক্যারেক্টার আমরা দেখতে পারি। তারপর হুট করে সে একদিন তিথিকে তার বাড়ির উঠানে দেখতে পায় এবং সে তাকে জড়িয়ে ধরে ফেলে। এবং সে ভাবে তিথি ফিরে এসেছে। তখন তিথি তাকে বলে যে সে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে এখানে এসেছে। তখন আমাদের হিরো শাকিব খান অর্থাৎ সুমন অনেক রেগে যায় এবং চ্যালেঞ্জ করে যে আমি সাতদিনের মধ্যে তোর থেকে অনেক ভালো সুন্দর একটা মেয়েকে বিয়ে করবো। 


সাতদিনের মধ্যে তার বিয়ে ঠিক হয়

এরপর সুমন তার বাসায় কথা বলে এবং সত্যি সত্যি সাতদিনের মধ্যে তার বিয়ে ঠিক হয়। এরপর বিয়ের শপিং এর জন্য যখন ফিরে যায় তখন সে যাওয়ার সময় তিথিকে নিয়ে যায়। এবং বিভিন্নভাবে তাকে জেলাস ফিল করায়। এবং মানসিকভাবে কষ্ট দেওয়ার ট্রাই করে। এরপর তিথির ভাই যখন অনেক রাগান্বিত হয় এবং এই জিনিসগুলো সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞেস করে যে - ও বিয়ে করলে করুক কিন্তু আমার বোনকে এরকম কষ্ট দিবে কেন!


কাহিনীগুলা আস্তে আস্তে রিভিল হয়

তখন কাহিনীগুলা আস্তে আস্তে রিভিল হয় যে, আসলে তিথির এখনো বিয়েই হয়নি। ওর একটা রোগ হয়েছে যে কারণে ও বেশি দিন বাঁচবে না এবং এর ফলে যদি সুমন যদি তাকে বিয়ে করে এবং সে যদি এরপর মারা যায় তাহলে সে অনেক কষ্ট পাবে। অর্থাৎ আমাদের নায়কের কষ্টের কথা ভেবেই নায়িকা বলেনি সুমনকে। যখন তিথির ভাই কথাগুলো সব বলে তখন সুমন সিদ্ধান্ত নেয় যে সে নতুন যার সাথে বিয়ে ঠিক হয়েছে তাকে না তিথিকেই বিয়ে করবে।


বিয়ের দিন

সুমন বিয়ের দিন পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে তিথিদের বাড়িতে চলে যায় এবং গিয়ে দেখতে পায় যে অনেকগুলো মানুষ সেখানে ভিড় করে আছে। এবং সে যখন সামনে যায় তখন দেখে যে তিথি আর এই দুনিয়াতে নেই । আত্মহত্যা করেছে কারণ সে সুমনের দেওয়া কষ্ট গুলো নিতে পারছিল না এবং এগুলা সব তার চিঠিতে লেখা ছিল। যে এতদিন আমি সুমনের জন্যই বেঁচে ছিলাম এখন যেহেতু তার অন্য জায়গায় বিয়ে হয়ে যাচ্ছে তাই আমার আর বেঁচে থাকার কোন কারণ নেই। সুমন যখন চিঠিটা দেখতে পারে তখন সে অনেক আফসোস করা শুরু করে। সে তার ভুল বুঝতে পারে কিন্তু কি করার এখন তো আর কিছুই করার নাই।


এই মুভি ডাউনলোড করার পদ্ধতি


আমরা কখনই একটা মুভি ইল্লিগালভাবে ডাউনলোড করাকে প্রমোট করি না। তবে আপনি যদি চান তাহলে বিভিন্ন ফ্রি ভাবেও এই প্রিয়তমা মুভি ডাউনলোড করতে পারেন। এ ব্যাপারে আমাদের একটা বিশদ পোস্ট আছে পোস্টটি দেখে প্রিয়তমা মুভিটি ডাউনলোড করে নিন 

প্রিয়তমা মুভি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন


Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.