আমাদের ছোটবেলার সেই কবিতাগুলার কথা মনে আছে তো! হুট করে আমাদের ছোটবেলার যেসব কবিতাগুলা মনে পড়ে যায় আমাদের ছোট নদী কবিতা হচ্ছে তেমনই একটা কবিতা। আপনার সোনামণির জন্য কবিতাটি অনেক আনন্দদায়ক এবং মজাদার হবে। লিরিক্স এবং ব্যাখ্যা সহ কবিতাটি আজকে আমি আপনার সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। তো চলুন কবিতাটি লিরিক্স এবং ব্যাখ্যা সহ জেনে নেওয়া যাক।
কবিতা পরিচিতি
"আমাদের ছোট নদী" কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন। কবিতাটি তার গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত। কবিতাটিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলার গ্রামের নদীময় যে প্রকৃতি রয়েছে সে বিষয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন। এবং কবিতাটি শিশুদের জন্যেও অনেক মজার একটি কবিতা।
আমাদের ছোট নদী কবিতার লিরিক্স
- আমাদের ছোটো নদী চলে আকে বাঁকে
- বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে।
- পার হয়ে যায় গোরু, পার হয় গাড়ি,
- দুই ধার উঁচু তার, ঢালু তার পাড়ি।
চিক চিক করে বালি, কোথা নাই কাদা,একধারে কাশবন ফুলে ফুলে সাদা।কিচিমিচি করে সেথা শালিকের ঝাঁক,রাতে ওঠে থেকে থেকে শেয়ালের হাঁক।
- আর-পারে আমবন তালবন চলে,
- গাঁয়ের বামুন পাড়া তারি ছায়াতলে।
- তীরে তীরে ছেলে মেয়ে নাইবার কালে
- গামছায় জল ভরি গায়ে তারা ঢালে।
সকালে বিকালে কভু নাওয়া হলে পরেআঁচল ছাঁকিয়া তারা ছোটো মাছ ধরে।বালি দিয়ে মাজে থালা, ঘটিগুলি মাজে,
বধূরা কাপড় কেচে যায় গৃহকাজে।
- আষাঢ়ে বাদল নামে, নদী ভর ভর
- মাতিয়া ছুটিয়া চলে ধারা খরতর।
- মহাবেগে কলকল কোলাহল ওঠে,
- ঘোলা জলে পাকগুলি ঘুরে ঘুরে ছোটে।
- দুই কূলে বনে বনে পড়ে যায় সাড়া,
- বরষার উৎসবে জেগে ওঠে পাড়া।
আরো পড়ুনঃ
আমাদের ছোট নদী কবিতার ব্যাখ্যা
কবিতাটি মূলত ছোট বাচ্চাদের জন্য লিখা হয়েছে। নদীর আঁকাবাঁকা চলন, প্রকৃতির বিভিন্ন রূপ, নদীর মাঝখান দিয়ে গরুর পার হয়ে যাওয়া। একটা নির্দিষ্ট ঋতুতে হয় এই জিনিসগুলা। কবিতাটিতে অনেক ভালোভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বিষয়গুলা। এছাড়াও এই কবিতায় বর্ণিত কাশবনের বর্ণনা, খেক শিয়ালের বর্ণনা, আমবন, তালবন এর বর্ণনা, নদীর তীরে ছেলেমেয়েদের খেলাধুলা ইত্যাদি। এই জিনিসগুলো বাচ্চাদের মন মানসিকতাকে বিকাশিত করবে। এছাড়াও একটা নদীতে বিভিন্ন ঋতুতে কি কি হতে পারে সেই বিষয়গুলো এখানে তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে শালিক পাখির বর্ণনা যেটা বাচ্চারা অত্যন্ত পছন্দ করবে।